গাজীপুরে আ.লীগকে সমর্থন, খুলনায় কী করবে জাপা?

গাজীপুরে আ.লীগকে সমর্থন, খুলনায় কী করবে জাপা?

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। তবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়ে গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি প্রার্থী থাকবেন কি না সেটি এখনও ধোঁয়াশাপূর্ণ।

জাতীয় পার্টির হয়ে যিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তিনি বলছেন, শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকবেন। কিন্তু দলের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য জানিয়েছেন, গাজীপুরের মতো খুলনাতেও মেয়র পদে প্রার্থী না দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে তাদের।

প্রার্থী না দিয়ে গাজীপুরে আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারা। জানিয়েছেন, দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এমনই নির্দেশ রয়েছে।

খুলনা ও গাজীপুরে আগামী ১৫ মের ভোটকে সামনে রেখে গত ১২ এপ্রিল যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের জন্য সোমবারের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে। ফলে সেদিনই খুলনায় জাতীয় পার্টির অবস্থান স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।

খুলনায় জাতীয় পার্টির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলের মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম শফিকুর রহমান। ঢাকাটাইমসকে তিনি জানান, গাজীপুরে দল প্রার্থী না দিলেও খুলনায় তার ব্যাপারে দলের উচ্চ পর্যায় থেকে কোনো বাধা আসেনি।

‘পরবর্তীতে দল কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা আমার জানা নেই। তবে আমি দলকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, নির্বাচনের মাধ্যমে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে নতুন কর্মী বাহিনী গড়ে উঠবে, যা দলকে শক্তিশালী করবে।’

খুলনায় অবশ্য জাতীয় পার্টির উল্লেখযোগ্য কোনো ভোট নেই যে দলের কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারবে। এমনকি কোনো দলের প্রতি সমর্থন জানালে সেই দলেরও যে বিরাট কোনো উপকার হবে, এমন নয়।

২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে লড়াই করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিুকুল ইসলাম মধু চার লাখ ৪০ হাজার ভোটারের মধ্যে সমর্থন পেয়েছিলেন তিন হাজার নয়শ জনের। প্রাপ্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ না পাওয়ায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

ওই নির্বাচন অবশ্য দলীয় প্রতীকে হয়নি। কিন্তু এবার ভোট হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। আর লাঙ্গল মার্কা থাকলে ভোট বাড়বে বলে দাবি করছেন দলের নেতা শফিকুর রহমানের।

শফিকুর বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সাংস্কৃতি হচ্ছে নির্বাচনমুখী। বিগত দিনে অনেক বড় দল নির্বাচনে অংশ না নিয়ে দলীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সকল নির্বাচনেই দলের অংশ নেয়া উচিত। এর ফলে দল শক্তিশালী হবে এবং জনগণের আস্থা অর্জন করবে। এতে দল জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং যে কোনো নির্বাচনে দলের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।’

জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না, জানতে চাইলে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভ রায় ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (গাজীপুর ও খুলনা) মেয়র প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে অনুযায়ী গাজীপুরে মেয়র প্রার্থী দেয়া হয়নি। তবে খুলনা খুলনায় একজন প্রার্থী হয়েছেন। তিনি নির্বাচন করবে কি করবে না এ ব্যাপারে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

খুলনায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী এস এম মুশফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর কাশেম হত্যা মামলাসহ দুইটি মামলা আছে। মুশফিক জানান, কাশেম হত্যা মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। অন্যটি বিচার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment